সোমবার, মে ২৯, ২০২৩

অবশেষে সেই পাপিয়ার বিচার শুরু

[print_link]

যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া দম্পতিসহ ৫ আসামির বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে করা মামলার বিচার শুরু হয়েছে। রাজধানীর গুলশান থানায় করা মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

রবিবার (২১ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ ৮ নাম্বার আদালতের বিচারক বদরুল আলম ভুঁইয়া তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করেন। একইসঙ্গে বিচারক মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।

এ মামলার আসামিরা হলেন- শামীমা নূর পাপিয়া, তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী, পাপিয়ার সহযোগী সাব্বির খন্দকার, শেখ তায়িবা নূর ও জুবায়ের আলম।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাপিয়া দম্পতির আইনজীবী শাখাওয়াত উল্যাহ ভূঁইয়া।

এর আগে গত ৩১ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি পুলিশের আরেক পরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন।

চার্জশিটে বলা হয়, অবৈধভাবে পাঁচ কোটি টাকার মালিক হন পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান। এই টাকার কথা কেউ যাতে জানতে না পারে, সেজন্য তা ব্যাংকে না রেখে বাসার খাটের নিচে লুকিয়ে রাখা হয়। বাসায় এতো টাকা রাখার তথ্য স্ত্রী পাপিয়াকেও জানাননি তিনি। তবে মফিজুর যখন ভারতে অবস্থান করেন, তখন পাপিয়া বাসার খাটের নিচে টাকা থাকার তথ্য জেনে যান এবং এই অবৈধ টাকা পরে খরচ করেন। এরমধ্যে হোটেল ভাড়া দেন তিন কোটি টাকার বেশি।

২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এরপর তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্টসহ বিপুল পরিমান দেশি ও বিদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয়। পরে তাদের বাসায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, মাদক, পাসপোর্ট ও বিপুল পরিমান এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়।

ওই ঘটনায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানার মাদক ও অস্ত্র মামলা, গুলশান থানায় মানি লন্ডারিংয়ের মামলা, বিমানবন্দর থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে (জাল টাকার) মামলা এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।

২০২০ সালের ১২ অক্টোবর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে অস্ত্র মামলায় ২০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।

আরোও

আলোচিত সংবাদ

error: Content is protected !!