মানিকগঞ্জের শিবালয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে রুবেল (২২) নামের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ছেলে দিপুর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শাকরাইল গ্রামে।
শুক্রবার দুপুরে শিবালয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন রুবেলের বাবা মো. আবুল হোসেন।
আহত রুবেল ওই ইউনিয়নের দক্ষিণ শাকরাইল গ্রামের মো. আবুল হোসেনের ছেলে। রুবেল পূর্বে শিমুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। অভিযুক্ত দিপু ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মানিকের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৫ আগষ্ট) সন্ধ্যা ৬ টার সময় রুবেল, লিটন ও জুয়েল তাদের বাড়ীতে পারিবারিক বিষয়ে কথাবার্তা বলছিল। পূর্ব শত্রুতার জেরে ওই সময় চেয়ারম্যানের ছেলে দিপু, ফিরোজ, সোহেল ও আসিফসহ ১৪ থেকে ১৫ জন মোটরসাইকেলে করে বাড়িতে এসে রুবেলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে রুবেলকে তারা লোহার রড ও গ্যাসের পাইপ দিয়ে এলোপাথারী মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। রুবেলের কাছে থাকা একটি অ্যান্ড্রোয়েড মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায়।
রুবেলের বাবা মামলার বাদী মো. আবুল হোসেন জানান, ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে চেয়ারম্যানের ছেলে দিপু, ফিরোজ, সোহেল ও আসিফসহ ১৪ থেকে ১৫ বাড়িতে এসে আমার ছেলে রুবেলকে লোহার রড ও গ্যাসের পাইপ দিয়ে মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। ওর প্যান্টের পকেটে থাকা ১৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি অ্যান্ড্রোয়েড মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায়। অন্য পকেটে থাকা আরো একটি মোবাইল ভেঙে ফেলে। আমার ছেলের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীরা পালিয়ে যান। পরে আমার ছেলেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করি। এ ব্যাপারে বিচারের জন্য থানায় একটি অভিযোগ করেছি।
দিপুর সাথে এ ব্যাপারে কথা হলে তিনি জানান, ২৫ আগষ্ট কোন একটা বিষয়ে আমার সাথে রুবেলের কথা কাটাকাটি হলে ও আমাকে মারে। পরে সেই রাগে ওই দিনই আমি রুবেলকে মারধর করি।
শিবালয় থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) শেখ ফরিদ আহমেদ জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।