

কবিতা দ্রব্যমূল্যে আকাশচুম্বী-ফয়সাল আহমেদ
হে স্বদেশ হয়ে যাবে কি নিঃশেষ
সামনে থেকে কি পারবো না খেতে?
দ্রব্য মূল্যের দাম বাড়িয়ে
একের পর এক তারা লাথি যে দিচ্ছে পেটে।
গরীর গড়াইবে ভূমির ধূলোয়
মধ্যেবিত্ত হবে জীবন্ত লাশ,
ধনীরা চলবে হয়তো কোন রকমে
এভাবেই কি হবে দেশের সর্বনাশ?
চালের দাম দ্বিগুণ বাজার যেন আগুন
তৈল আটার দামও বাড়িলো সাথে,
মানুষের আয় বাড়ছে না-তো হায়
অভাব ঘুরিছে যে দুয়ারে আর হাঁটে ঘাটে।
লোডশেডিং এর জ্বালা গ্যাসের জ্বালা
সবকিছুই যেন হয়ে যাচ্ছে শেষ
এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে শেষে
কোন অবস্থানে গিয়ে দাড়াবে মোদের দেশ?
দিনে এনে দিন খাওয়া লোক গুলোর যেন
আকাশ সমান বোঝা,
সারা দিনের কামাই দিয়েও যেন পারছে না খেতে
ক্ষুদার চাদরে মুড়িয়ে পাচ্ছে ক্রমাগত সাজা।
সম্পদে ভরা আমাদের স্বদেশে
কেন অভাবের হাতছানি?
গোপনে কেউ কি লুটে খাচ্ছে মোদের?
নাকি আমাদের উপোস রেখেই আমাদের সম্পদ গুলো বিদেশে হচ্ছে রপ্তানি।
দেশটা তেলবাজিতে ভরে গেছে
তৈলাক্ত কথা বলতে পারলেই ভালা,
প্রতিবাদী-মূখর কথা বললেই এদেশে তোমায়
থাকতে দিবে না, বাঁধবে জেল-হাজতে তালা।
এমন যদি হয় গো মোদের দেশের অবস্থা
কি হবে শেষ পরিনতি?
দেশ বাঁচতে হলে বন্ধ করো তবে
তৈলবাজি আর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি।