সোমবার, মে ২৯, ২০২৩
Home Blog

মানিকগঞ্জে পৌর শ্রমিক লীগের আহবায়ক কমিটি গঠন

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:

‘দুনিয়ার মজদুর, এক হও -এ শ্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে জাতীয় শ্রমিকলীগ মানিকগঞ্জ পৌর শাখার ২৫ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহবায়ক মোঃ হাশমত আলী এবং সদস্য সচিব করা হয়েছে মোঃ টিপু মিয়াকে।

বৃহস্পতিবার (২৫মে) জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আঃ জলিল ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানিফ আলী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় শ্রমিক লীগ মানিকগঞ্জ পৌর শাখার মোঃ হাশমত আলী ও মোঃ টিপু মিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষীতে মানিকগঞ্জ জেলা শাখা শ্রমিক লীগের সিগ্ধান্ত মোতাবেক, মানিকগঞ্জ পৌর শাখার সাংগঠনিক কার্যক্রম আরো গতিশীত ও গণমূখী করার লক্ষে আগামী জাতীয় নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী ও বিএনপি, জামায়াতের নৈরাজ্য রোধ করতে অদ্য ২৫/০৫/২০২৩ ইং তারিখ হইতে আগামী ০৩ মাসের জন্য পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের শর্তে পৌর কমিটির ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেওয়া হলো।

গঠিত কমিটির অন্যানরা হলেন, মোঃ আমজাদ, মোঃ নয়ন ইসলাম, মোঃ সুজন মিয়া, মোঃ আদম, রবিউজ্জামান বাবু, মোঃ আরিফ হোসেন, মোঃ মিন্টু মিয়া, সুভাষ রাজবংশী, মোঃ আলআমিন শিকদার রাকিব, মোঃ রুবেল, গুরু প্রসাদ রাজবংশী, জয় দে, মোঃ সিফাত, মোঃ ইমন, মোঃ মানিক মিয়া, আব্দুর রহমান, মোঃ বিল্টু মিয়া, মোঃ স্বপন মিয়া, মোঃ জসিম, শ্রাম মন্ডল,  মোঃ হোসেন মিয়া, মোঃ নাহিদুল ইসলাম, মোঃ মতি।

কমিটির বিষয়ে জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আঃ জলিল বলেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে পৌর সভার ০৯টি ওয়ার্ড পর্যায়ে নতুন ও পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে গঠিত কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

বাড়ি লিখে নিলো সৎ বোনেরা ;আদালতে ভাইয়ের মামলা

মোঃ আশরাফুল ইসলাম,মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি.

মানিকগঞ্জে বাবাকে ভুল বুঝিয়ে ভাইয়ের ঘরে জায়গাসহ ভিটি বাড়ির জমি দলিল করে বড় ভাইকে বিতাড়িত করেছে সৎ বোনেরা । গত শনিবার (৬ই মে)দুপুরে সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম মকিমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে । ভূক্তোভূগী লাভলু মিয়া একই গ্রামের ওয়াজুদ্দিনের ছেলে । এ ঘটনায় সৎ বোন পুলিশ সদস্য লাখী আক্তার ও বোন জামাই ইব্রাহিম,লাবনী আক্তার এবং সৎ মা ছালেহা বেগমসহ মোট ৭ জনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন লাভলু মিয়া । জানা যায়,লাভলু’র বাবা ওয়াজুদ্দিন দুইটি বিবাহ করেন ।প্রথম স্ত্রী রাবেয়া মারা গেলে দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তিনি। প্রথম পক্ষে এক ছেলে লাভলুসহ দুই মেয়ে ও দ্বিতীয় পক্ষে আরো দুই মেয়ে রয়েছে ওয়াজুদ্দিনের । মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, “ লাভলু তার বাবা ওয়াজুদ্দিনের অনুমতিক্রমে পাঁচ লক্ষ টাকা ব্যয় করে বাবার অনুমদিত জায়গায় ৩০ ফুট লম্বা ও ১৯.৫০ ফুট চওড়া করে ২ কক্ষ বিশিষ্ট বারান্দায় একটি কেবিনসহ ঘর নির্মাণ করে স্থানীয়দের জ্ঞাতসারে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বসবাস করে ।লাভলুর সৎ বোনেরা বাবাকে ভুল বুঝিয়ে সম্প্রতি লাভলুর ঘরের জায়গাসহ মেট ১২ শতাংশ জায়গা লাখী ও লাবনী তাদের নামে দলিল করে নেয় । লাভলু বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবাদ করলে আসামীগণ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বে-আইনি জনতাবদ্ধে লাভলুর বসত ঘরে অনধিকার প্রবেশ করে লোহার শাবল,বাশ,গাছের ডাল দিয়ে বাইরাইয় লাভলুর মাথা,ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা যখম করে । লাভলুর স্ত্রী আয়শা আক্তার ফিরাতে গেলে বোন জামাই ইব্রাহিম তার চুলের মুঠি ধরে চর-থাপ্পর ও টানা হিচড়া করে শ্লীলতাহানি করে ।অন্যান্য আসামীগন লাভলুর ২ কিশোর ছেলেকে কিল,ঘুষি, লাথি মের জখম করে ।পরে লাভলুকে জোরপূর্বক ঘরের বাহিরে এনে ইব্রাহিম বুকের উপর বসে দুই হাতে গলা চেপে ধরে ।দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে শরীরের সর্বশক্তি প্রয়োগ করে ঝামটা দিয়ে ছুটে প্রাণে রক্ষা পায় লাভলু ।তবে লাভলুর গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় ইব্রাহিম ।ঘরের ভিতরে থাকা আলমারিতে রক্ষিত ১ লক্ষ টাকা নিয়ে যায় লাখী । এছাড়াও আলমারী,শোকেজ,স্টীলের সিন্দুক,টেলিভিশন,সাউন্ডবক্স নিয়ে যায় ও ক্ষতি সাধন করে ।সেসময় লাভলু ও তার স্ত্রী-সন্তানদের ডাক চিৎকারে আশপাশের প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসলে এবিষয়ে মামলা করলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ।” স্থানীয় হেলাল মিয়া জানান,চিৎকারের শব্দে লাভলুদের বাড়িতে গিয়ে দেখি আনেক লোকজন জড়ো হয়েছে ।লাভলুর শরীরের জামা কাপড় ছেড়া ।ওর বউয়ের শরীরে মাটি । খুব মারছে ছেলেটারে । পরে ঘরে তালা দিয়ে লাভলুকে বউ পুলাপনসহ বের করে দিছে ।আমি প্রতিবাদ করায় আমার নামেও মাললা দিছে।আমরা এলাকাবাসী এই ঘটনার তিব্র নিন্দা জানাই । আর সবাই এই অন্যায়ের প্রতিবাদ স্বরুপ গণসাক্ষর দিয়েছি।” প্রতিবেশী বাদশা মিয়া জানান,“ লাভলুর ঘরের জায়গাসহ বাড়ির জমি লাখী আর লাবনীর নামে লিখে নিছে ।লাভলুর বড় আরো দুই বোন আছে । কাউরে কিছু না দিয়ে দ্বিতীয় ঘরের দুই মেয়েকে সম্পত্তি দেয়ায় আমি সহ আমার কয়েকজন শরীকরা মিলে ওয়াজুদ্দিন চাচার সাথে কথ্ বলতে গেলে সে আমাদের সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করে ।পরে আপোষের কথা বলে মীমাংসা না করে উল্টো লাভলু,লাভলুর বউ-শাশুড়ীসহ আমাদের নামেও মামলা দিছে ওয়াজুদ্দিন ।” ভূক্তভূগী লাভলু মিয়া জানান,আমার বউ বাচ্চাসহ আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিছে । আমাকে আমার অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে আমার বাবাকে ভুল বুঝিয়ে আমার ঘরের জায়গাসহ জমি লিখে নিছে আমার সৎ বোন লাখী আর লাবনী । আমার আলমারি থেকে এক লাখ টাকা নিয়ে গেছে । আর গলায় সোনার চেইন ছিল সেটাও নিয়ে গেছে । আমি থানায় গিয়ে মামলা করতে পারি নাই । পরে স্থানীয় ভাবে আপোষ করা কথা হইছে । কিন্তু আপষ মীমাংসা না করে চালাকি করে উল্টো আমার নামেই মামলা দিয়েছে ।আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার ও আমার অধিকার চাই ।” এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্তদের সাঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি ।

চাঞ্চল্যকর ৮ বছরের শিশু হত্যা মামলার প্রধান আসামী আটক, রহস্য উদঘাটন

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ইয়ামিন নামের ৮ বছরের শিশু হত্যা মামলার প্রধান আসামী কে আটক করেছে র‌্যাব-১। নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে শিশু ইয়ামিন কে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলার প্রধান আসামী ফরিদ’কে রাজধানীর নর্দ্দা (গুলশান) হতে গ্রেফতার করে মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করেছে র‌্যাব-১ ।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১৬ মে) আনুমানিক সকাল সাড়ে ১০ টায় নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানার মধুখালী বালুর মাঠ থেকে অজ্ঞাতনামা একটি শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ। পরবর্তীতে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ শিশুটির লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসাপাতালে প্রেরণ করে। ইতিমধ্যে শিশুটির লাশের ছবি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার হলে ওই দিন আনুমানিক বিকাল ৩টার সময় শিশুর পিতা ফিরোজ আলম মাসুম সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছবি দেখে তার ছেলে ইয়ামিন (৮) এর মৃতদেহ সনাক্ত করে। নিহত ইয়ামিনের পিতা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার নম্বর-৫৩ তারিখ ১৭/০৫/২০২৩, ধারা-৩০২/ ২০১/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। এই নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হয়। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে র‌্যাব-১ তাৎক্ষনিকভাবে এই হত্যাকান্ডের প্রকৃত ঘটনা উম্মোচনের জন্য ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামী গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

ঘটনাসূত্রে জানা যায়, গত ০৩/১১/ ২০২১ ইং তারিখে ইয়ামিন এর মা আমেনা বেগম পিতা ফিরোজ আলম মাসুম কে ডিভোর্স প্রদান করে। পরে আমেনা বেগম ইয়ামিন কে নিয়ে ধৃত আসামী ফরিদ (৪০) এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সংসার করতে থাকে। বিবাহের পর তাদের মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে প্রায় সময় ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকতো। এক পর্যায়ে আমেনা বেগম ফরিদকে ডিভোর্স প্রদান করে। এতে ফরিদ ক্ষিপ্ত হয়ে আমেনা কে শায়েস্তা করার জন্য শিশুটিকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। গত সোমবার
(১৫ মে) সকাল আনুমানিক ১১ টায় রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে শিশু ইয়ামিন নিখোঁজ হয়। তার মা বিভিন্ন জায়গায় অনেক খোঁজাখুজি করে না পেয়ে ডিএমপি, বাড্ডা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেন, যার জিডি নাম্বার-১১৩০ তারিখ ১৫/০৫/২০২৩ ইং। এরই ধারাবাহিকতায় (১৯ মে) বিকাল ৪টার সময় র‌্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষন করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিএমপি ঢাকা’র গুলশান থানাধীন নর্দ্দা বাজার গুলশান-২ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী ফরিদ কে গ্রেফতার করে । আটক ফরিদ লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানার সারপুকুর গ্রামের মজনু হকের ছেলে। বর্তমানে সে রাজধানীর বাড্ডা থানা এলাকার আনন্দ নগর ঝিলপাড় কলোনী তে থাকতেন এবং সেখান থেকেই তাকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইয়ামিন কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে মর্মে স্বীকার করেছে।

জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, সে গত ১৫ মে সকাল অনুমান ১১ টার সময় মেরুল বাড্ডা এলাকা হতে একটি সিএনজিযোগে ইয়ামিন কে নিয়ে বিভিন্ন জায়গা বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বেড়ানো শেষে ওই দিন আনুমানিক সন্ধা ৭ টায় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ইয়ামিন কে রুপগঞ্জ থানাধীন মধুখালী বালুর মাঠে নিয়ে যায় এবং তার কাছে থাকা কাপড়ের টুকরা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায় মর্মে স্বীকার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামী ফরিদ কে আইনি ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

কারাবন্দী আলেমদের মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে সমাবেশ।

মুহাম্মাদ রমজান মাহমুদ
মাওলানা মামুনুল হকসহ কারাবন্দি আলেমদের মুক্তি, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, ভারতের সাথে দেশের স্বার্থ বিরোধী ট্রানজিট চুক্তি বাতিল ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধের দাবিতে রাজধানীতে সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। আজ (১৯ মে) শুক্রবার জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বাইতুল মুকাররমের উত্তর গেইটে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

দলটির আমীর শায়খুল হাদীস মাওলানা ইসমাঈল নূরপুরীর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা ও মাওলানা মুহাম্মদ ফয়সালের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা কোরবান আলী কাসেমী, মাওলানা আব্দুল আজিজ, মাওলানা মাহবুবুল হক, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, কেন্দ্রীয় অফিস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, সাংগঠনিক মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, আর্ন্তজাতিক সম্পাদক মাওলানা ফয়েজ আহমদ, নির্বাহী সদস্য মাওলানা আতাউর রহমান, যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ খালেদ সাইফুল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা সামিউর রহমান মুসা, সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা শরীফ হোসাইন, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য মাওলানা রুহুল আমীন খান, মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, মাওলানা আব্দুল মুমিন, ঢাকা মহানগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আনোয়ার হোসাইন রাজী প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ইসমাঈল নূরপুরী বলেন, সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক সহ আলেমদের বন্দী রেখে সরকার জাতীর উপর বিপদ ডেকে আনছে। আলেমদের এভাবে বন্দী করে রাখা দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতিকর। তিনি মাওলানা মামুনুল হক সহ আলেমদের দ্রুত মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, দলীয় সরকারের আমলে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। সুতরাং জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, জিনিস পত্রের দাম বেড়েই চলছে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছে না এভাবে স্মাট বাংলাদেশ গড়া যাবে না। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার নামে মানুষের সাথে প্রতারণ করা হচ্ছে। তিনি ভারতের সাথে দেশের স্বার্থ বিরোধী ট্রানজিট চুক্তি বাতিল করার জন্য জোর দাবী জানান

সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ বলেন, ভারতের সাথে ট্রানজিট চুক্তি দেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ত বিরোধী, অবিলম্বে ট্রানজিট চুক্তি বাতিল করতে হবে। তিনি আরও বলেন, সরকার বার বার গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। এতে মানুষের জনজীবন আরো বিপর্যময় হয়ে উঠছে। তিনি গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম কমানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, অনেক খুনের মামলার আসামীরাও অল্প সময়ে মুক্তি পেয়ে যায়। কিন্তু বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে দ্বীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় ধরে জেলে রাখা হয়েছে। যা অমানবিক। মাওলানা মামুনুল হক তার স্ত্রী নিয়ে রিসোর্টে গিয়ে ছিলেন এবং তার স্ত্রী ঝর্ণা জনসম্মুখে দাবী করেছেন মামুনুল হক তার স্বামী, যা দেশবাসী সবাই শুনেছে। কিন্তু প্রশাসনের অতি উৎসাহী কিছু কর্মকর্তা মামুনুল হকের চরিত্র হননের জন্য তার স্ত্রী ঝর্ণাকে দিয়ে জোর পূর্বকভাবে একটি ধর্ষণ মামলার নাটক সাজিয়েছে। যা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট। আলেমদের চরিত্র হননের ষড়যন্ত্র দেশের মানুষ কোনোভাবেই মেনে নিবে না। সুতরাং মাওলানা মামুনুল হকসহ আলেমদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, সভা সমাবেশ ও মিছিল মিটিং করা আমাদের নাগরিক অধিকার কিন্তু সরকার আমাদের নাগরিক অধিকারে হন্তক্ষেপ করছে। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে গণমিছিলের জন্য ডিএমপি বরাবর আবেদন করলেও শেষ মুহূর্তে এসে আমাদেরকে গণমিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি যা খুবই দুঃখজনক। এধরণের আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

রাম বসাক, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ
আজ ২০মে (শনিবার) রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রথম দিন বি-ইউনিট (মানবিক বিভাগ)-এর পরীক্ষার মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বার এর মতো সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে ইব্রাহিম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষাগ্রহণ শুরু হয়। এবারের বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ২২০৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। দুপুর ১২.০০টায় শুরু হয়ে দুপুর ১.০০টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের আগমন উপলক্ষ্যে শাহজাদপুরজুড়ে উৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

এর আগে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, হাইওয়ে পুলিশ, স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কয়েক দফা সভা করে পরীক্ষাগ্রহণকে নির্বিঘ্ন করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের আবাসন, খাবার সহ সার্বিক সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। তাই পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা সন্তুষ্টচিত্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় পরীক্ষার্থী, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, এবং পরীক্ষা কাজে নিয়োজিত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং এই পরীক্ষাটি একটা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য যারা বাহিরে থেকে সাহায্য করেছে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গণমাধ্যমকর্মীসহ শাহজাদপুর বাসীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনসহ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্মকাণ্ডে তারা এমনি করেই পাশে থাকবেন। রবি উপাচার্য বলেন, বিগত বছরের ন্যায় এবছরও ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে শাহজাদপুরে উৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

উল্লেখ্য সারাদেশে জিএসটি গুচ্ছভুক্ত মোট ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে বি-ইউনিটের গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এবছর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩টি (এ, বি, সি) ইউনিটে সর্বমোট ৭৬৯২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে।

error: Content is protected !!